বুকে কয়দিন যাবৎ দুধ আসচ্ছে না। আমি কাঁদি।
আল্লাহ্কে বলি - আল্লাহ্, আমাকে কয়েকটা বছর কোন মতে বাঁচিয়ে রাখো, আমার বাবুটা একটু বড় হোক, তারপর না খাইয়ে আমাকে মেরে ফেলো, তবু আমার বুকে একটু দুধ দাও, আমার বাবুটা খেতে পারছে না। আল্লাহ্ আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন, শাফি বলে আর দোয়া ইউনুস পড়ে আমার আর বাবুর বুকে ফুঁ দেয়। ফুঁয়ে কাজ হয় না। আমার বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।
কৌটার দুধ কুসুম গরম পানিতে গুলে বাবুর মুখে ধরা হয়। বাবু খেতে চায় না। একটু খায় বাকিটা বমি হয়ে যায়। বাবুকে কোলে নিয়ে আমি সারারাত বসে থাকি , শাফি সারাঘর পায়চারি করে আর বিড়বিড় করে দূরুদ শরীফ পড়ে। ইভানের মা'কে খবর দিবো? উনি এসে একবার দুধ খাইয়ে দিয়ে যাক। তুমি একটু বলে দেখো , ভদ্রমহিলা রাগ করবেন না। বাচ্চারা ফেরেশতার মতো।
ওদের খাওয়াতে পারলে তো পুণ্য! পায়তারি করতে করতে শাফি আমায় বলে। আমি চুপচাপ থাকি। নিজেকে আমার ধিক্কার দিতে মন চায়। আমি এক অক্ষম মা যে তার সন্তানকে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে পারে না! সন্তানের ক্ষুর্দার্ত মুখে চেয়ে আমার মাতৃত্ব ব্যর্থ মনে হয়।
লেখক : রেদওয়ান মাসুদ
0 Comments