মায়ের ভালোবাসা

মা শব্দটা খুবই ছোট্ট তবে মায়ের ভালোবাসা অফুরন্ত।
মা আমার মা

সেই ছোট্ট বেলাই যখন ষষ্ঠ শ্রেনিতে উঠি ঠিক সেই বছর মা কে রেখে চলে আছি শহরে ।পড়াশোনা করতে হবে হতে হবে ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার এটাই বাবা মায়ের সপ্ন ।। আর সেই সপ্ন কে বাস্তব করতেই সমস্ত ত্যাগ । প্রতিটা দিন কাটত এক দীর্ঘ প্রতীক্ষাই কবে ছুটি হবে স্কুল কবে বাড়ি যাব । দিন যেন কাটতেই চাইনা এক একটা দিন এক এক টা বছর। এভাবেই কাট তে লাগল দিন । মা কে ভেবে কতক রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি হিসেব নেই। অন্নের মা যখন তার সন্তান কে আদর করত আমার ও  খুব ইচ্ছে হত.। আমার ও ইচ্ছে করত মায়ের বানানো টিফিন খেতে ইচ্ছে করত মায়ের আঙ্গুল ধরে স্কুল এ যেতে ইচ্ছে করত স্কুল ছুটি হলে আমার মা আমাকে নিয়া যাবে । এরকম হাজার ও ইচ্ছে ভেসে গেছে চোখের জলে । কখন মা তোমাকে জরিয়ে আদর পাইনি প্রতিটা মুহূর্ত আমাকে কষ্ট দিয়ে গেছে .। অনেক কষ্ট হত মা তোমাকে ছাড়া থাকতে তবুও কখন বলিনি মা তোমাকে অনেক ভালবাশি।পরিক্ষা শেষ হওয়া মানে ঈদ এর চাঁদ দেখতে পাওয়া। আর বাড়ি যাওয়া মানে মনের মাঝে উরাদুরা নাচানাছি। বাড়ি যাওয়া এর পর মা তোমার কষ্ট গুল আমাকে আরও বেশি কষ্ট দিত।
 সারা দিন অনেক খাটা খাটনি পরও যখন তোমাকে সবাই কথা শুনাত বিশ্বাস কর মা আমি সহ্য করতে পারতাম না । অনেক রাগ হত একা একা কান্না করতাম। আর যখন আবার মাকে রেখে শহরে আসার সময়ই হত তখন তো মন আসতেই চাইত না । এভাবেই দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচ বছর। মা তোমাকে কখন বলা হয়নাই তোমাকে ঠিক কততা ভালবাসি । এর পর এবার ও  ডিপ্লোমা পড়াশোনা শুরু তখন ও মায়ের থেকে  আর ও চারটে বছর দূরে থাকতে হবে এইভাবেই সময়ই কাটতে লাগল । একসময় ডিপ্লোমা শেষ হল কিন্তু মায়ের কাছে আর থাকা হলনা চলে আস্তে হল ঢাকাতে চাকরি ও বি. এস.সি শুরু । প্রাই দুই বছর চলে গেল আবার কিন্তু মায়ের সাথে আর থাকা হলনা । হয়ত বা এভাবেই বিয়া করে শ্বশুর বাড়ি চলে যেতে হবে আর মায়ের সাথে ভালবাসার সুমধুর সময় আর কাটানো হবেনা।
মা তোমাকে আর বলা হবে না গলা জরিয়া তোমার কলে মাথা রেখে বলা হবে মা তোমাকে ভালবাসি।


Rea��es:

Post a Comment

0 Comments