১. বিল গেটসের জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলে। তার বাবা আইনজীবী ও মা স্কুলটিচার। ছোটবেলা থেকেই তার ব্যাপক জ্ঞানার্জনের আগ্রহ ছিল। এ কারণে তরুণ বয়সেই ‘ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া’ সিরিজটি তিনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছিলেন।

৩. লেকসাইড থেকে ১৯৭৩ সালে পাশ করার পর বিল গেটস হাভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখানে প্রধানত আইন নিয়ে পড়তে ঢুকলেও তিনি ক্রমে অংক ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ঝুঁকে পড়েন।
8. হাভার্ডে ভর্তির দুই বছর পর বিল গেটস পল অ্যালেনের সঙ্গে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর তিনি কখনোই ব্যাচেলর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য ফিরে আসেননি। কিন্তু ২০০৭ সালে হাভার্ড তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
৫. ছাত্র থাকা অবস্থাতেই বিল গেটস সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরু করেন। এ সময় বিশ্বের প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার ‘এমআইটি অল্টেয়ার’-এর জন্য সফটওয়্যার প্রস্তুত শুরু করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে গেটস ও অ্যালেন সফটওয়্যার কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় অফিস স্থাপিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যে
৬. ১৯৭৯ সালে গেটস ও অ্যালেন তাদের আদি বাসস্থান সিয়াটলে মাইক্রোসফটের অফিস স্থাপন করেন। এরপর অবশ্য তারা অফিস রেডমন্ডে নিয়ে যান।
৭. ১৯৮৫ সালে মাইক্রোসফট প্রথম উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বাজারজাত করে। ১৯৮৭ সালে ৩১ বছর বয়সি বিল গেটস একজন বিলিয়নেয়ার হয়ে যান।
৮. সম্পদের পরিমাণ ক্রমে বাড়তে থাকায় ১৯৯৫ সালে বিল গেটস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। সে সময় তার সম্পদ ছিল ১২. ৯ বিলিয়ন ডলার।এরপর থেকে প্রতি বছরই তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কিংবা তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আসছেন।
৯. মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে আদালতে সফটওয়্যার মনোপলির অভিযোগ আনা হয়। এতে বিল গেটসের বিষয়ে জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়।
১০. ভবিষ্যৎ স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে ১৯৮৭ সালে সাক্ষাত হয় বিল গেটসের। তিনি মাইক্রোসফটের একজন কর্মী ছিলেন। তারা ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। এরপর অবশ্য জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি মাইক্রোসফট ত্যাগ করেন।
১১. বিল গেটস, মেলিন্ডা ও তাদের তিন সন্তান ওয়াশিংটনের একটি বড় বাড়িতে বাস করেন। ১২১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়িটিতে নানা আধুনিক ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুলে আন্ডারওয়াটার সাউন্ড সিস্টেম। বাড়িটিতে আরও রয়েছে ২৪টি বাথরুম ও ২৩টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গ্যারেজ।
১২. বিল গেটস কিছু সময় অতিবাহিত করেন গ্রিনল্যান্ডের একটি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পে। এটি একটি দূরবর্তী স্কি সেন্টার।
১৩. গেটসের দ্রুতগামী গাড়ির বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ আছে। তিনি ‘পোর্শে ৯৩০ টার্বো,’ মার্সিডিস, জাগুয়ার, ক্যারেরা ক্যাব্রিওলেট ৯৬৪, ও ফেরারি ৩৪৮ কিনেছেন। মাইক্রোসফটের শুরুতে তিনি ১৯৭৯ সালে ‘পোর্শে ৯১১’ কিনেছিলেন।
১৪. বিল গেটসের অন্যতম প্রিয় শখ হলো টেনিস খেলা। তিনি নানা চ্যারিটি ম্যাচেও অংশ নেন।
১৫. মাইক্রোসফটের সিইও পদ থেকে ২০০০ সালে বিল গেটস চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিইওর প্রযুক্তি পরার্মক হিসেবে কাজ করছেন।
১৬. জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে বহু প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শুরু করে অভুক্ত মানুষকে খাবার পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত।
১৭. প্রাইভেট জেট বিমান কেনার জন্য ১৯৯৭ সালে গেটস দুই কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয় করেন। এটি তার জনকল্যাণমূলক কাজে নানা স্থানে ভ্রমণে সহায়ক হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৮. বিল ও মেলিন্ডা ২০১০ সালে ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে মিলে ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ নামে একটি প্রচারণা শুরু করেন। এতে তারা সহমর্মী ধনীদের তাদের অর্ধেক সম্পদ জনকল্যাণে ব্যয়ের জন্য প্রচারণা চালান তারা। এখন পর্যন্ত এতে সম্মত হয়েছেন পল অ্যালেন, ল্যারি এলিসন, স্টিভ কেস ও মার্ক জাকারবার্গের মতো কয়েকজন শীর্ষ ধনী।
১৯. বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ব্যবসাতেও গেটস বিনিয়োগ করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিমের বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ খুঁজে বের করার প্রকল্প কিংবা আগামী প্রজন্মের কনডম তৈরির মতো প্রকল্প
ধন্যবাদ সবাইকে । ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন।
0 Comments